বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ‘মনগড়া’, বলছে আওয়ামী লীগ - BBC News বাংলা (2024)

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ‘মনগড়া’, বলছে আওয়ামী লীগ - BBC News বাংলা (1)

ছবির উৎস, Getty Images

Article information
  • Author, তারেকুজ্জামান শিমুল
  • Role, বিবিসি নিউজ বাংলা, ঢাকা

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ২০২৩ সালে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন হয়নি।

২০২২ সালের মতো গত বছরও বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানান ঘটনা ঘটেছে বলে মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওইসব ঘটনার সাথে জড়িত কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত ও শাস্তি দিতে সরকার বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

উল্টো তাদেরকে “ব্যাপকভাবে দায়মুক্তি” দেওয়ার অসংখ্য খবর রয়েছে বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এছাড়া বাংলাদেশের নাগরিকদের হাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনের ক্ষমতা নেই বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিবেদন 'ত্রুটিপূর্ণ' বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।

“এটি একটি মনগড়া রিপোর্ট এবং এখানে সত্যের হার খুবই কম”, বিবিসি বাংলাকে বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

প্রতিবেদনে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে মার্কিন সরকারের কাছে “তথ্য-প্রমাণ” চাওয়া হবে বলেও বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন মি. নাছিম।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির যে চিত্র উঠে এসেছে, দীর্ঘমেয়াদে সেটি দেশটির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আরও পড়তে পারেন:
  • কাতারের আমির কে? কিভাবে ছোট এই দেশে ব্যাপক পরিবর্তন হলো?

  • নতুন ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি, বাংলাদেশে এত গরম আর কতদিন চলবে?

  • মাথা ন্যাড়া করলে কি গরম কমে? এ নিয়ে আরো 'প্রচলিত ধারণা' কতটা কার্যকর?

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ‘মনগড়া’, বলছে আওয়ামী লীগ - BBC News বাংলা (2)

প্রতিবেদনে আরও যা বলা হয়েছে

সোমবার ‘২০২৩ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাক্টিসেস: বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বাধীন মতপ্রকাশে বাধা, গণমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে যে, গত বছর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ নির্বিচারে বেআইনি হত্যার ঘটনা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, নির্বিচারে গ্রেফতার-আটক, অমানবিক ও অসম্মানজনক আচরণ এবং কারাগারের কঠিন ও জীবনের জন্য হুমকির পরিবেশের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে।

এছাড়া অন্য দেশে থাকা ব্যক্তিদের ওপর নিপীড়ন চালানোর তথ্যও তারা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিগত বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আটজনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকাকালে মৃত্যু হওয়ার কথা বলেছে।

তবে অন্য একটি মানবাধিকার সংগঠন একই সময়ে ১২ জনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার খবর দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩২ জন গুমের শিকার হয়েছেন।

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ‘মনগড়া’, বলছে আওয়ামী লীগ - BBC News বাংলা (3)

ছবির উৎস, Getty Images

গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এবং ভিন্ন মতাবলম্বী বলে বলা হয়েছে।

এসব ঘটনার প্রতিরোধ, তদন্ত বা দোষী ব্যক্তিদের সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার সামান্যই চেষ্টা করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যা রয়েছে।

দেশটিতে ব্যক্তির গোপনীয়তার ক্ষেত্রে নির্বিচারে বেআইনি হস্তক্ষেপ চালানো হচ্ছে বলে মানবাধিকার প্রতিবেদনে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এছাড়া একজন ব্যক্তির অপরাধের অভিযোগে তার স্বজনদের শাস্তি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলেও এতে বলা হয়েছে।

গণমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতার বিষয়ে বলা হয়েছে যে, ২০২২ সালের মতো গতবছরও মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

পাশাপাশি সাংবাদিকদের প্রতি সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, অহেতুক গ্রেফতার বা বিচার, সেন্সরশিপ এবং ইন্টারেনেটে স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে গুরুতর বিধি-নিষেধ আরোপ অব্যাহত ছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এটাও বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ চালানো এবং চলাফেরার স্বাধীনতায় নানান বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

বেসরকারি ও নাগরিক সংগঠনগুলো পরিচালনা ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বিধি-নিষেধমূলক আইন চালু করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ‘মনগড়া’, বলছে আওয়ামী লীগ - BBC News বাংলা (4)

ছবির উৎস, Getty Images

বিশেষ করে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ডে সরকারের পক্ষ থেকে গুরুতর বিধি-নিষেধ আরোপ করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়েছে যে, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ক্ষমতা বাংলাদেশের নাগরিকদের হাতে নেই বলেও জানানো হয়েছে।

এতে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে হওয়া দুর্নীতির প্রসঙ্গও উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হলে তাদের সাজা দেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের আইনে রয়েছে। কিন্তু সরকার সেই আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এর ফলে দুর্নীতি করেও সেটির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা প্রায়শ দায়মুক্তি পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর বাইরে, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, বিশেষত: পারিবারিক ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, যৌন নির্যাতন, কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন, শিশুশ্রম, শিশু–বাল্যবিবাহ, জোরপূর্বক বিয়ে, জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের বিরুদ্ধে সহিংসতা, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যকার সম্মতিপূর্ণ সমলিঙ্গের যৌন আচরণকে অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করা, স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন ও কর্মীদের সংগঠন করার স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধি-নিষেধ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ‘মনগড়া’, বলছে আওয়ামী লীগ - BBC News বাংলা (5)

ছবির উৎস, Getty Images

সরকার কী বলছে?

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির যে চিত্র মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোন বক্তব্য দেয়নি দেশটির সরকার।

তবে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের নেতারা মার্কিন প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

“বাংলাদেশ নিয়ে তারা প্রায়ই এ ধরনের অভিযোগ তোলে, যার বেশিরভাগই অসত্য”, বিবিসি বাংলাকে বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি আরও বলেন, “এসব অভিযোগের বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ চাওয়া হবে।”

এমন প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেয়ারও সমালোচনা করেছেন মি. নাছিম।

তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “অভিযোগগুলোর পক্ষে তাদের কাছে যদি সত্যিই তথ্য-প্রমাণ থেকে থাকে, তাহলে তারা বাংলাদেশ সরকারকে সেটি জানাননি কেন?”

“তাদের তো উচিৎ ছিল বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানানো এবং সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা”, বলেন মি. নাছিম।

এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও উল্টো প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

মি. নাছিম বলছিলেন, “তাদের ওখানেও কি পরিস্থিতি খুব ভালো?”

“প্রায়ই তো শোনা যায় পুলিশের গুলি ও নির্যাতনে মানুষ মারা যাচ্ছে। আবার অনেকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে, বর্ণবাদী সহিংসতা হচ্ছে”, বলেন তিনি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে সেটির প্রতিবাদ জানাবে বলেও আশা করছেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ‘মনগড়া’, বলছে আওয়ামী লীগ - BBC News বাংলা (6)

ছবির উৎস, Getty Images

কোনও প্রভাব পড়বে?

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, নানা দিন থেকেই সেটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

“তাদের এই প্রতিবেদনকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গুরুত্ব সহকারে দেখে। কাজেই বহির্বিশ্বের কাছে একটি দেশের ভাবমূর্তি নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি বেশ গুরুত্ব বহন করে”, বিবিসি বাংলাকে বলেন বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির।

সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির যে চিত্র ফুটে উঠেছে, দীর্ঘমেয়াদে সেটি দেশটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি।

“মানবাধিকার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির এমন চিত্র দেখার পর বিদেশি বড় বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উৎসাহ নাও দেখাতে পারেন”, বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. কবির।

এছাড়া প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযোগ আমলে না নিলে ভবিষ্যতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

“এই প্রতিবেদনকে একটি সিগনাল হিসেবে দেখা যেতে পারে”, বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. কবির।

“কাজেই এটি আমলে না নিলে বাংলাদেশের ওপর নানান নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় বিভিন্ন সময় আরোপ করে থাকে”, বলেন সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির।

এক্ষেত্রে ২০২১ সালে র‍্যাবের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেন মি. কবির।

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ‘মনগড়া’, বলছে আওয়ামী লীগ - BBC News বাংলা (7)

ছবির উৎস, Getty Images

‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে জড়িত থাকার’ অভিযোগে বাংলাদেশের বিশেষ এই বাহিনী ও তার ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

তারও আগে, রানাপ্লাজা ধ্বসের ঘটনার পর ২০১৩ সালে বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ বাজার সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করেছিলো দেশটি।

“গুরুত্ব সহকারে নিয়ে এ বিষয়ে এখনই কাজ শুরু করলে সামনে এ রকম নিষেধাজ্ঞা হয়তো আরও আসতে পারে”, বিবিসি বাংলাকে আশঙ্কার কথা বলেন মি. কবির।

যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তিত নয় বলে জানাচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।

“বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটা খারাপ না যে নিষেধাজ্ঞা আসবে”, বিবিসি বাংলাকে বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি আরও বলেন, “এরকম নিষেধাজ্ঞার কথা আমরা আগেও অনেকবার শুনেছি এবং দেখা গেছে, সরকার বিরোধীরাই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সেগুলো ছড়িয়েছে।”

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ‘মনগড়া’, বলছে আওয়ামী লীগ   - BBC News বাংলা (2024)

References

Top Articles
Latest Posts
Article information

Author: Laurine Ryan

Last Updated:

Views: 6278

Rating: 4.7 / 5 (77 voted)

Reviews: 84% of readers found this page helpful

Author information

Name: Laurine Ryan

Birthday: 1994-12-23

Address: Suite 751 871 Lissette Throughway, West Kittie, NH 41603

Phone: +2366831109631

Job: Sales Producer

Hobby: Creative writing, Motor sports, Do it yourself, Skateboarding, Coffee roasting, Calligraphy, Stand-up comedy

Introduction: My name is Laurine Ryan, I am a adorable, fair, graceful, spotless, gorgeous, homely, cooperative person who loves writing and wants to share my knowledge and understanding with you.